ভার্চুয়াল শিক্ষা : সময়ের চাহিদা

ড. মো. আবু তাহের: স্বাধীননোত্তর বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রথাগত (Face to Face) শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। একমাত্র বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৩ সাল থেকে উন্মুক্ত ও দুর শিক্ষা (UDL) শিক্ষা কার্যক্রম চালু ছিল, যদিও এর কার্যকারিতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। মূলত: প্রথাগত শিক্ষা শিক্ষককেন্দ্রিক আর ভার্চুয়াল শিক্ষা শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক।
করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই কারণে বাংলাদেশেও ১৭ই মার্চ ২০২০ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ব্যহত হয়েছে প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম। তৎমধ্যে প্রাথমিক সমমান পর্যায়ে দেড় কোটির অধিক, মাধ্যমিক সমমান পর্যায়ে ১ কোটি ৩৪ লাখ, উচ্চ মাধ্যমিক সমমান পর্যায়ে ৬০ লাখের অধিক ও স্নাতক/স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রায় ৪০ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। উল্লেখ্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে অনেকগুলো পরীক্ষা হতে পারেনি। এসএসসি সমমান পরীক্ষার ফলাফল ৩১শে মে ২০২০ প্রকাশিত হলেও একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। উচ্চ মাধ্যমিক বা এইচএসসি বা সমমান ২০২০ পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে।
করোনার প্রকোপ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। সামনের দিনগুলোতে মহামারী পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে কেউ জানে না। কবে নাগাদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে তারও নিশ্চয়তা নেই। এহেন পরিস্থিতিতে আপদকালীন ব্যবস্থা হিসেবে সরকার মাধ্যমিক পর্যায়ের ১ কোটি ৩৪ লাখ শিক্ষার্থীদের শিক্ষন ক্ষতি পোষাতে ইতিমধ্যে সংসদ টিভির মাধ্যমে ভিডিও আপলোডিং করে শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও ১০ লাখ শিক্ষার্থী সংসদ টিভি দেখতে পারছেনা। উল্লেখ্য, এতে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি বুঝল কিনা তা বুঝার কিংবা শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করার কোন সুযোগ নেই।
অন্যদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইউজিসির অনুমোদনক্রমে ভার্চুয়াল শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা সমান নয়। তাই এর কার্যকারিতা নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠেছে।
নিম্নে বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের একটি তালিকা উপস্থাপন করা হল। তালিকা ১ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ণরত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা
বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের নাম শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতকরা হার
স্বায়ত্ত শাসিত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ ২৮৪,২৭৪ ৭.১২%
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২৭৮৮৭৮৭ ৬৯.৮৭%
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ৩১৮৫২৬ ৭.৯৪%
ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ২৩৭৪৮০ ৫.৯৫%
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ ৩৬১৭৯২ ৯.০৪%
মোট : ৩৯৯০৮৫৯ ১০০%
(সূত্র: ইউজিসি বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৮, পৃষ্ঠা ১৩২-১৩৪)
তালিকা ১ এ দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষাথীদের প্রায় ৭০ ভাগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজসমূহে অধ্যয়ণরত যেখানে এখনো ভার্চুয়াল ক্লাস শুরু হয়নি। অন্যদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভার্চুয়াল ক্লাস চালু করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেয়নি, যদিও বিভাগের উদ্যোগে কিছু কিছু শিক্ষক ভার্চুয়াল ক্লাস নিচ্ছে। শুধু মাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অল্প শিক্ষার্থী ভার্চুয়াল ক্লাস করছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাসায় বসে অন্যভাবে সময় পার করছে। প্রহর গুনছে কবে নাগাদ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে, শ্রেণী কার্যক্রম শুরু হবে। এমতাবস্থায় শিক্ষা মন্ত্রনালয় সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ভার্চুয়াল শিক্ষা কার্যক্রমের উপর জোর দিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের আলোকে একটি রিকভারী প্ল্যান তৈরি করতে হবে যাতে শিক্ষন ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যায়। যদি কোন কারণে সেপ্টেম্বর ২০২০ এরপরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা না যায় তাহলে প্রয়োজনে মুক্তিযুদ্ধের সময় সেভাবে শিক্ষার এক নির্দিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অটো প্রমোশন দেয়া হয়েছিল সেটিও বিবেচনা করা যেতে পারে।
করোনা ভাইরাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্র কানাডা, চীনসহ উন্নত দেশসমূহে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পরও শিক্ষার্থীর অন-লাইনে পড়ালেখা চালিয়ে গেছে। কেননা বাইরের দেশগুলো অনেক আগ থেকে পড়ালেখার ক্ষেত্রে অফ-লাইন ও ভার্চুয়াল দুটো মাধ্যমেই সমানভাবে ব্যবহার করে আসছে। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে হয়তো ভার্চুয়াল পড়ালেখা করানোর কোন ব্যবস্থা ইতিপূর্বে ছিল না। কিন্তু এ ধরনের আপদকালীন সময়ে আমাদেরকে বসে না থেকে ভার্চুয়াল শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।
ভার্চুয়াল ক্লাস নেয়ার জন্য অনেকগুলো মাধ্যম যেমন জুম, ইউটিউব লাইভ, গুগল ক্লাসরুম, কোসেরা, ফেসবুক লাইভ ইত্যাদি রয়েছে। মনে রাখতে হবে বর্তমানকালের শিক্ষার্থীরা ফেসবুক, ইনষ্ট্রাগ্রাম ও স্লাপচ্যাটের যুগে বড় হচ্ছে। তাদের জন্য এ ধরনের প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত হওয়া অনেক সহজ। করোনাভাইরাসের কারণে আগে জুম ফ্রি ভার্সনে যে ৪০ মিনিটের সময়সীমা ছিল তা এখন প্রত্যাহার করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাইলে প্রতিষ্ঠানের সবার জন্য লাইসেন্স ক্রয় করতে পারে। জুমের ফ্রি ভার্সন সফটওয়ারটির মাধ্যমে বিনামূল্যে ১০০ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভার্চুয়াল ক্লাস নেয়া সম্ভব। উক্ত সফটওয়্যারের ব্রেকআউট রুম ব্যবহার করে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট রুমে ভাগ করে দিতে পারে। তারপর শিক্ষক এক কক্ষ থেকে অন্য কক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থীরা কি করছে তা দেখতে পারে। নির্দিষ্ট সময়ের পর সবাইকে আবার ভার্চ্যুয়াল ক্লাসরুম ফেরত নিয়ে আসতে পারে। তাছাড়া জুমে লাইফ পোলিং এর ব্যবস্থা রয়েছে। একটি বিষয় পড়ানোর পর শিক্ষক প্রশ্ন করে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি বুঝল কিনা তা অতি সহজে কয়েকটি মাউস ক্লিক করে জেনে নিতে পারে। এমনকি জুমের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো ভার্চ্যুয়াল ক্লাসরুমে কেউ যদি মনিটরের দিকে না তাকিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে থাকে তাহলে শিক্ষক সাথে সাথে ঐ শিক্ষার্থীর নাম জানতে পারে। তাছাড়া গুগল ক্লাসরুম ব্যবহার করে অতিসহজে ভার্চুয়াল ক্লাস নেয়া যায়। কোন শিক্ষক চাইলে বিনামূল্যে গুগল স্যুটে নিবন্ধন করতে পারে। তারপর নির্ধারিত কোড দিয়ে শিক্ষার্থীরা ঐ ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারে। অ্যাসাইনমেন্টের জন্য গুগল ফরম, গুগল ডক, গুগল ড্রাইভ ও ইউটিউব ভিডিও যুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। কোন শিক্ষার্থী ক্লাস মিস করলে বা ক্লাসে না বুঝে থাকলে ক্লাসরুমে থেকে যাওয়া আগের ভিডিও গুলো পড়েও দেখতে পারে শুধু কম্পিউটার নয় যে কোন ডিভাইস থেকে শিক্ষার্থীরা এর মাধ্যমে ভার্চুয়াল ক্লাসে অংশ গ্রহণ করতে পারে। তবে শিক্ষা প্রযুক্তি কোন মাধ্যমটি ভার্চুয়াল শিক্ষার জন্য উপযোগী তা কিছু মানদন্ডের আলোকে বিচার করে নির্বাচন করতে হবে যাকে সংক্ষেপে (SMAARTE) বলা হয়। অর্থ্যাৎ S মানে Softness (নমনীয় ও সহজবোধ্য) M মানে Manageability (স্বল্প খরচে পরিচালনযোগ্য) A মানে Accessibility (যেকোন সময় ও স্থান থেকে সহজে অংশগ্রহন) A মানে Affordability (কম ব্যয় সাপেক্ষে) R মানে Reliability (নির্ভরযোগ্য) T মানে Totality (সামগ্রিক সম্পূর্ণতা) ও E মানে Efficiency (কর্মদক্ষতা) । মনে রাখতে বিভিন্ন স্তরে ভার্চুয়াল শিক্ষার জন্য শিক্ষা প্রযুক্তির ও তারতম্য রয়েছে।
ভার্চুয়াল শিক্ষা কার্যক্রমকে অর্থবহ ও ফলপ্রসু করার জন ‘LASOR’ মডেল প্রয়োগ করা যেতে পারে। উক্ত মডেলে তিন ধরনের ষ্ট্রেটিজি বা কৌশলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। (১) টপ ডাউন কৌশল/ষ্ট্রেটিজি (শিক্ষা কার্যক্রমে নেতৃত্ব প্রদান) (২) বটম আপ ষ্ট্রেটিজি (শিক্ষা প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওনারশিপ ও প্রস্তুতিকরণ) (৩) ইনসাইড আউট ষ্ট্রেটিজি (প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রতি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক ধারণা প্রত্যক্ষন, মনোভাব ও আচরণ নিশ্চিতকরণ) তাছাড়া ভার্চুয়াল শিক্ষা কার্যক্রমে প্রযুক্তি শিক্ষন পদ্ধতি পেডাগজি) কনটেন্ট (বিষয়ক) এর সমন্বয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান বিতরণের জন্য একটি কাঠামো থাকা প্রয়োজন যাকে এক কথায় TPCK (Technology Pedagogy Content Knowledge) ফ্রেইম ওয়ার্ক বলা হয়। এ ধরনের কাঠামোর সহায়তায় বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষাদানের জন্য SMAARTE এর আলোচ্য যথাযথ শিক্ষা প্রযুক্তি পছন্দ করা যেমন সহজতর হবে তেমনি শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষা কার্যক্রম অনেকটা অর্থবহ করে তোলা যাবে।
উল্লেখ্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে প্রজেক্ট বাংলাদেশ রিসার্চ এন্ড এডুকেশনাল নেটওয়ার্ক (BdREN) এর আওতায় ৩৫টি বিশ^বিদ্যালয়ে ইতিমধ্যে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপন করেছে। এর মাধ্যমে শিক্ষকেরা আবেদন সাপেক্ষে (BdREN) জুম হিসাব খুলে অতি সহজে ভার্চুয়াল শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রনালয় বা ইউজিসির একটি দিক নির্দেশনা প্রয়োজন। অন্যদিকে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের উপর আরোপিত কর কমাতে হবে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য তা পারলে শূণ্যের কোঠায় নিয়ে আসা যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন।
তবে এটাও সত্য যে আমাদের মত দেশে ভার্চুয়াল শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে যেমন ভার্চুয়াল ক্লাস নিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনভিজ্ঞতা ভয় শ্রেণিকক্ষে অতিমাত্রায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কানেকশন লস, বাফারিং সমস্যা, লজিস্টিক সুবিধার অপর্যাপ্ততা, ধীরগতি সম্পন্ন ব্রডব্যান্ড ইনষ্ট্রাকশনাল ডিজাইনারের অভাব, কনটেন্ট ডেভেলপনা থাকা, অনেক শিক্ষার্থীর স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ, ডেক্সটপ না থাকা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের অভাব ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এ সমস্ত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলার জন্য একটি সমন্বিত পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হতে হবে। দিতে হবে উক্ত খাতে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ এবং এর সদব্যবহার সুনিশ্চিত করতে হবে। গড়ে তুলতে হবে একটি বেলান্ডেড লানিং (Blended Learning) শিক্ষা ব্যবস্থা যাতে শিক্ষাক্ষেত্রে আপদকালীন যে কোন পরিস্থিতি আমরা মোকাবেলা করতে সক্ষম হই ।
করোনা ভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যমান বাস্তবতায় ও শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পোষাতে রিকভারী প্ল্যানের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের জন্য ভার্চুয়াল শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা অতিব জরুরী। আর এ রুপান্তর প্রক্রিয়ায় সরকার এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে স্বপ্রনোদিত হয়ে প্রস্তুতি ও অংশগ্রহন করতে হবে। গড়ে তুলতে হবে সর্বস্তরের জন্য ভার্চুয়াল ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহনপূর্বক নিজেকে ভবিষ্যতের কর্মবাজারের উপযোগী করে প্রস্তুত করতে পারে। এতেই বঙ্গবন্ধু কন্যা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন সত্যিকার অর্থে স্বার্থক রূপ লাভ করবে।
*লেখক: বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক ও প্রফেসর, ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও সাবেক ডিন ব্যবসায় প্রশাসন অনুবাদ।
বিআলো/ইসরাত
মন্তব্য করুন